December 23, 2025, 6:19 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, টানা দুই দিন সূর্যের দেখা নেই ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি কমের মধ্যেও রপ্তানি ও রাজস্ব বৃদ্ধি লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়/ চিরনিদ্রায় শহীদ ওসমান হাদি কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে প্রশাসন শোকবার্তায় জামায়াত /আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লবের অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার কারিগর ছিলেন হাদি’ মব সন্ত্রাসে জাতি বিভক্ত, দায় সরকারের: মির্জা ফখরুল সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান সরকারের জুলাই–অক্টোবরে বাণিজ্য ঘাটতি ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে অন-ডিউটি চিকিৎসকের মোবাইল গেম খেলা/ দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা, আরও অভিযোগ আজ মহান বিজয় দিবস/বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও বিজয়ের গৌরবগাথা

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য ভাঙচুর মামলায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের জামিন না মঞ্জুর

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
বহুল আলোচিত কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য ভাঙচুর মামলার দুই আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলী জামিন না মঞ্জুর করেছেন কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আসামি পক্ষে আইনজীবি কাজী তৌহিবুল ইসলাম বলেন, ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ১টার পরে আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করেন। সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী।
গত বছর (২০২০ সালের) ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দুইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙচুর হয়। দুই মাদ্রাসাছাত্র ভেঙ্গে ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশের ক্ষতি করে। গত বছর যখন হেফাজতসহ ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যবিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছিল সেই সময় এ ঘটনা ঘটে।
ভাষ্কর্যের কাছেই ছিলো পুলিশের সিসি ক্যামেরা। সেই ফুটেজ এবং আশাপাশের অন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করে ফেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া মাদার শাহ পশ্চিম পাড়ার ইবনি মাসউদ কওমী মাদ্রাসার মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন, মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ, শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলী।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দেন। তারই প্রেক্ষিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হয়।
৮ ডিসেম্বর পুলিশের আবেদনে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের ৫ দিন করে ও দুই শিক্ষককে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড দেন আদালত। রিমান্ড শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে চার আসামিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
দুই মাদ্রাসাছাত্র সেসময় বলেছিলো ইউটিউবে তারা ফয়জুল করিম ও মামুনুল হকের ওয়াজ শুনে উদ্বুদ্ধ হন। ভাষ্কর্য ভাঙচুরের পর মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের বাড়ি চলে যেতে বলে।
গ্রেফতার চারজনই এখন কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে আছেন। আলোচিত এই ঘটনার মামলার ৩ ও ৪ নং আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলী পক্ষে জেলা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে করা এই আবেদনকারী আইনজীবী হলেন কাজী তৌহিবুল ইসলাম। প্রথমে ১১ এপ্রিল জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। তবে, লকডাউনের কারণে সময় পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। অ্যাডভোকেট কাজী তৌহিবুল ইসলাম বলেন, আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে লোকজন এসে জামিন ধরতে অনুরোধ করেন। এটা আমার পেশা। টাকাও দেন। তাছাড়া যে কোন আসামিরই আত্মপক্ষ সমর্থনের আইনগত অধিকার আছে। আমার সঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী এনামুল হকও ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেয়।
অ্যাডভোকেট কাজী তৌহিবুল বলেন, এই দুই শিক্ষককে সন্দেহের বশে ধরা হয়। জামিন করার চেষ্টা করলাম, হয়নি। এবার আসামির অভিভাবকরা যা ভাল হয় করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net